বাংলা থেকে হিন্দি ভাষা শিক্ষার সহজ উপায়
আপনি যদি হিন্দি ভাষা শিখতে চান তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আপনি পরিপূর্ণ হিন্দি ভাষা শিখতে পারবেন আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে
হিন্দি ভাষা বাংলা অনুবাদ
ভওয়িষ্ইত কাল
হিন্দীতে ভবিষ্যৎ কালে লিঙ্গ ও বচন অনুযায়ী—
বিভক্তির যুক্ত হয়। যেমন—
একবচন্
ম্যঁয় হুঁগা— আমি হইব
তু হোগা— তুই হবি
আপ হোংগে— আপনি হবেন
আপলোগ হোংগা— আপনারা হবেন
ওয়হ্ হোগা— সে হবে
ওয়ে হোংগে— তিনি হবেন
ওয়হুবচন
হম্ হোংগে— আমরা হইব
তম্ হোগে— তুমি হবে
হিন্দি ভাষা শিক্ষা কোর্স
এতক্ষণ সর্বনামের সঙ্গে বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ কালের বিভক্তি গুলি লিঙ্গ ও বচন অনুসারে দেখানো হলো। এখানে কয়েকটি ক্রিয়া লিঙ্গ ও বচন অনুসারে কিভাবে পরিবর্তিত হয়, তার আলোচনা করা হচ্ছে।
জানা—যাওয়া—বর্তমান কাল
একবচন— পুংলিঙ্গ
ম্যঁয় জাতা হুঁ— আমি যাচ্ছি
তুম্ জাতা হ্যায়— তুমি যাচ্ছ।
তু জাতা হ্যায়— তুই যাচ্ছিস।
ওয়হ্ জাতে হ্যাঁয়—সে যাচ্ছে।
বহুবচন— পুংলিঙ্গ
হম্ জাতে হ্যাঁয়— আমরা যাই ।
তুম জাতে হো— তুমি যাও।
ওয়ে জাতে হ্যাঁয়— তাঁরা যান বা তারা যায়।
এবার উপরোক্ত ক্রিয়াটি স্ত্রীলিঙ্গ হলে হবে।যেমন—
ম্যঁয় জাতী হুঁ— আমি যাই ইত্যাদি।
হম্ জাতী হ্যাঁয়—আমরা যাই।
খানা— খাওয়া
বর্তমান কাল— পুংলিঙ্গ
যদি প্রথমা বিভক্তিতে প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাহলে বাক্যগুলি নিম্নরূপ হবে।
যেমন—
ম্যঁয়নে খায়া— আমি খেলাম।
তুনে খায়া— তুই খেলি।
উসনে খায়া— সে খেল।
হমনে খায়া— আমরা খেলাম।
তুমনে খায়া— তোমরা খেলে।
উনহোঁনে খায়া— তাঁরা বা তারা খেলেন।
বিঃ দ্রঃ— স্ত্রীলিঙ্গে স্থলে (খায়ী) —হবে।
হিন্দি ভাষা শিক্ষার সহজ উপায়
অতীত কাল
হিন্দীতে অতীতকাল বোঝাতে পুংলিঙ্গ একবচনে—
(থা) বিভক্তি, পুংলিঙ্গ বহুবচনে (থে)যুক্ত হয়। যেমন—
একবচন— পুংলিঙ্গ
হম্ খায়া থা— আমি খেয়েছি।
তুমনে খায়ে থে— তোমরা খেয়েছ।
তুনে খায়ে থে— তোরা খেয়েছিস।
স্ত্রীলিঙ্গ একবচনে— (খায়ী থী) এবং বহুবচনে— (খায়ী থী) হবে।
ভবিষ্যৎ কাল
একবচন— পুংলিঙ্গ
ম্যঁয় খাউংগা— আমি খাব।
তুম খায়োগে— তুমি খাবে।
বহুবচন— পুংলিঙ্গ
হম্ খায়েঙ্গে— আমরা খাব।
ওয়ে খায়েঙ্গে— তারা খাবে।
হিন্দি ভাষা বাংলা অর্থ
পদ পরিচয়
ওয়িমল্ কে পাস কলম হ্যায়— বিমলের কাছে কলম আছে।
মিতা অচ্ছী লড়কী হ্যায়— মিতা ভালো মেয়ে।
অনিল অওর সুনীল জলদী আতা হ্যা— অনিল ও সুনীল তাড়াতাড়ি আসছে।
আহ, মুঝে জানে দো— আঃ আমাকে যেতে দাও।
উপরে চারটি বাক্য দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বাক্যটিতে— ওয়িমল্ কোনও ব্যক্তির নাম এবং কলম একটি বস্তুর নাম বুঝাচ্ছে।
দ্বিতীয় বাক্যে— শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গে
হয়েছে এবং শব্দের গুণ বোঝাচ্ছে।
তৃতীয় বাক্যে— শব্দটি ক্রিয়ার অবস্থা বোঝাচ্ছে। শব্দটি অনিল ও সুনীল দুটি বাক্যকে যুক্ত করেছে। শব্দটি দ্বারা যাওয়া বোঝাচ্ছে।
চতুর্থ বাক্যে— শব্দটি দ্বারা মনের আবেগ বা দুঃখ প্রকাশ করছে।(ওয়াক্ইয় মে ওয়হৃত প্রতইয়েক শব্দ কো পদ কহতে হ্যাঁয়—বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেক শব্দকে পদ বলে।
হিন্দী এবং বাংলা উভয় ভাষাতেই পদ পাঁচ প্রকার। যেমন—
সংজ্ঞা— বিশেষ্য
ওয়িশেষড়্— বিশেষণ
সরওয়নাম— সর্বনাম
ক্রিয়া— ক্রিয়া
অব্ইয়য়্— অব্যয়
সংজ্ঞা— বিশেষ্য
বাংলার মতোই হিন্দীতে সংজ্ঞা বা বিশেষ্য পাঁচ প্রকার। যেমন—
ওয়ক্তিওয়াচক্—
জাতিওয়াচক্— জাতিবাচক
সমূহওয়াচক্—
দ্রবইয়ওয়াচক্—
ভাবওয়াচক্— ভাববাচক
ওয়ক্তিওয়াচক্—যে বিশেষ্য দ্বারা কোনও ব্যক্তি, বস্তু বা স্থানের নাম বুঝায় তাকে বলা হয় ওয়ক্তিওয়াচক্ সংজ্ঞা। যেমন— হবেন, এক ব্যক্তির নাম। গনগা- একটি নদীর নাম। কিতাব- পুস্তক। একটি বস্তুর নাম। কলকত্তা— কলিকাতা, একটি স্থানের নাম। সোনা একটি ধাতুর নাম ইত্যাদি।
জাতিওয়াচক্— এই বিশেষ্য বা সংজ্ঞা দ্বারা এক জাতীয় সব প্রাণী বা বস্তুকে বোঝায় ।যেমন—
মনুষইয়্— মানুষ
শের— বাঘ
কুত্তা— কুকুর
পওধা— চারা গাছ
সমূহওয়াচক্— এই বিশেষ্য দ্বারা এক জাতীয় বহু বস্তুকে একটির মতো বোঝায়।
দ্রবইয়ওয়াচক্— এই বিশেষ্য দ্বারা যে কোনও দ্রব্যকে বোঝায়।
ভাব্ওয়াচক্—এই বিশেষ্য দ্বারা হর্ষ, বিষাদ, ভয় প্রভৃতি মনের ভাব বোঝায়।
হিন্দি ভাষা শিক্ষা বাংলা
ওয়িশেষড়—বিশেষণ
যে পদের দ্বারা বিশেষ্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ বা সংখ্যা বোঝায়, তাকে বিশেষণ বলে।
সংজ্ঞা ইয়া সরওয়নাম কী ওয়িশেষতা, বতানেওয়ালা শব্দোঁ কো ওয়িশেষড় কহতে হ্যাঁয়—সংজ্ঞা বা সর্বনামের বিশেষতা বোঝানোর শব্দগুলিকে বিশেষণ বলে। যেমন—
অচ্ছা লড়কা— ভালো ছেলে ।
বুরা লড়কা—খারাপ ছেলে ।
অচ্ছা লড়কী— ভালো মেয়ে।
উপরের বাক্যগুলিতে দেখা যাচ্ছে এবং শব্দ দুটির দ্বারা বিশেষ্য পদের দোষ গুণ বোঝা যাচ্ছে। অতএব
আবার দেখা যাচ্ছে —অ -কারান্ত বিশেষণ পদ লিঙ্গভেদে পরিবর্তন হয় না। আবার অ- কারান্ত বিশেষণ না হলে বিশেষ্যের লিঙ্গ, বচন অনুসারে বিশেষণের পরিবর্তন হয়। যেমন–
অচ্ছা লড়কা—ভালো ছেলে। একবচন
অচ্ছা লড়কী —ভালো মেয়ে । একবচ
অচ্ছে লড়কে—ভালো ছেলেগুলি। বহুবচন
অচ্ছী লড়কিয়াঁ—ভালো মেয়েগুলি। বহুবচন
বাংলা ভাষায় যেমন অনেক সময় বিশেষ্যের পরে বিশেষণ ব্যবহৃত হয় ।সেই রকম হিন্দীতেও অনেক সময় বিশেষ্যের পরে বিশেষণ ব্যবহৃত হয়।
যেমন—
ইয়হ্ কমরা ছোটা হ্যায়—এই ঘরটি ছোট।
ওয়হ্ গুলাব লাল হ্যায়—ঐ গোলাপটি লাল।
হিন্দি ভাষা বাংলা উচ্চারণ t
উপরের বাক্য দু'টিতে দেখা যায় 'কমরা’ বিশেষ্য পদের পড়ে' ঘরটা 'বিশেষণ এবং 'গুলাব' বিশেষ্য পদের শেষে 'লাল 'বিশেষণ বসেছে।
পুংলিঙ্গ বহুবচন হলে—অ-কারান্ত বিশেষণ পদ এ-কারান্ত হয় এবং স্ত্রীলিঙ্গ উভয় বচনেই ঈ-কারান্ত হয়। যেমন—
ছোটা লড়কা—ছোট ছেলে। পুং- একবচন
বড়ে লড়কে—বড় ছেলেরা। পুং- বহুবচন
বড়ী লড়কী —বড় মেয়ে। স্ত্রী- একবচন
বড়ী লড়কিয়াঁ—বড় মেয়েরা। স্ত্রী- বহুবচন
সরওয়নাম— সর্বনাম
সংজ্ঞা বা বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহার করা হয়, তাকে সরওয়নাম বা সর্বনাম পদ বলে। সর্বনামের উদাহরণ আগেই দেওয়া হয়েছে। এখানেও কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো—
হিন্দীতে সর্বনাম ছয় প্রকার। যেমন—
পূরুষওয়াচক্
নিশ্চয়ওয়াচক্
অনিশ্চয়ওয়াচক্
প্রশ্নওয়াচক্
সম্বন্ধওয়াচক্
নিজওয়াচক্
হিন্দি ভাষা শিক্ষা apps
উপরোক্ত ছয়টি সর্বনামের মধ্যে পুরুষবাচক সর্বনামটিই বেশি ব্যবহৃত হয়। এজন্য এখানে পুরুষবাচক সর্বনামের আলোচনা করা হলো।
পুরুষওয়াচক্ সর্বনাম —তিন ভাগে বিভক্ত। যেমন-
(১) উত্তম- পুরুষ
(২) মধ্ইয়ম -পুরুষ ও
(৩) অন্ইয়- পুরুষ
উত্তম-পুরুষ— একবচন
ম্যঁয়— আমি
মেরী— আমার
মুঝে— আমাকে
বাক্য রচনা
ম্যঁয় নির্ধারিত সময় পর্ নহী আ সকা— আমি ঠিক সময়ে আসতে পারিনি।
মেরী ওর্ সে ছমা মাঁগ লিজিএ— আমার দিক থেকে ক্ষমা চেয়ে নেবেন।
মুঝে বড়া খেদ হ্যায়— আমি অত্যন্ত দুঃখিত।
ম্যঁয় অভী আ রহা হুঁ— আমি এখনি আসছি।
বাংলা হিন্দি ভাষা
মধইয়ম-পুরুষ— একবচন
তুম্— তুমি ।
তুমহে— তোমাকে ।
তু— তুই ।
তুঝে— তোকে।
বাক্য রচনা
তুম উসকে ঘর গয়ে থে?— তুমি ওদের বাড়ি গিয়েছিলে?
তুম হিন্দী পঢ়তে হো?— তুমি হিন্দী পড়ছো?
তু কব্ গয়া— তুই কবে গিয়েছিলি।
তুম কহাঁ জাতে হো?—তুমি কোথায় যাচ্ছ?
অন্ইয়- পুরুষ — একবচন
ওয়হ্— সে।
কও্ন— কে! কোন্।
ইয়হ্— এই, ইহা।
জো— যে।
হিন্দি ভাষা লেখা
বাক্য রচনা
ওয়হ্ রোজ অংগ্রেজী পঢ়তা হ্যায়— সে প্রতিদিন ইংরেজি পড়ে।
ইয়হ্ মেরী কিতাব হ্যায়— এটি আমার বই।
কও্ন আয়া তা?— কে এসেছিল?
উত্তম- পুরুষ— বহুবচন
হম্ কল্ গয়া থা— আমরা কাল গিয়েছিলাম।
মধইয়ম- পুরুষ — বহুবচন
তুমলোগ্ কব্ গয়া থা?— তোমরা কবে গিয়েছিলে?
অন্ইয়- পুরুষ— বহুবচন
ওয়ে হররোজ ইয়হাঁ আতা হ্যায়— তারা প্রতিদিন এখানে আসে।
উপরের বাক্যগুলিতে দেখা যায়, পুংলিঙ্গে অ-কারান্ত ক্রিয়ার পরিবর্তন হয় না। কিন্তু স্ত্রীলিঙ্গে উত্তমপুরুষ, মধ্যমপুরুষ ও অন্যপুরুষে ক্রিয়ার পরিবর্তন হবে। যেমন—
ম্যঁয় গয়ী থী—আমি গিয়াছিলাম।
তুম্ গয়ী থী— তুমি গিয়েছিলে।
ওয়হ্ গয়ী থী— সে গিয়াছিল।
হিন্দি ভাষা শিক্ষা pdf
ক্রিয়া
বাংলার মতো হিন্দীতে ক্রিয়াপদ আছে। সে কথা আগেই আলোচনা করা হয়েছে। ক্রিয়া তিনভাগে বিভক্ত অর্থাৎ তিনটি কালে বিভক্ত। যেমন—
ওয়রতমান ।
অতীত।
ভওয়িষ্ইয়াত।
তাছাড়াও ক্রিয়া দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত। যেমন—
সকর্মক এবং অকর্মক।
সকর্মক ক্রিয়া— যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, তাকে বলা হয় সকর্মক ক্রিয়া। যেমন—
রাম কিতাব পঢ়তা হ্যায়— রাম বই পড়ে।
মীরা তাস খেলতী হ্যায়— মীরা তাস খেলছে।
পিতাজী ভাত খাতা হ্যাঁয়— বাবা ভাত খাচ্ছেন।
মাঁ রোটী খাতী হ্যাঁয়— মা রুটি খাচ্ছেন।
ম্যঁয় কাম করতা হুঁ— আমি কাজ করছি।
ওয়ে কাম করতে হ্যায়— তারা কাজ করছে।
উপরের বাক্যগুলিতে— প্রভৃতি ক্রিয়াগুলির কর্ম হলো— প্রভৃতি কর্ম বর্তমান।
অতএব এগুলি সকর্মক ক্রিয়া।
জিস্ ক্রিয়া মেঁ কর্ম হোতা হ্যায় উসে সকর্মক ক্রিয়া কহ্তে হ্যায়— যে ক্রিয়ার কর্ম আছে তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।
অকর্মক ক্রিয়া — জিস্ ক্রিয়া মেঁ কর্ম নহীঁ হ্যায় উসে অকর্মক ক্রিয়া কহ্তে হ্যাঁয়— যে ক্রিয়ার কর্ম নাই তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন—
ওয়হ্ খাতা হ্যায়— সে খায়।
হম্ করতা হ্যায়— আমরা করছি।
বাংলা থেকে হিন্দি ভাষা শিক্ষা pdf
উপরের প্রথম বাক্যে বলা হয়েছে — অর্থাৎ খাচ্ছে, কিন্তু কি খাচ্ছে তা বলা হয়নি। এজন্য বাক্যটি অকর্মক।
আবার দ্বিতীয় বাক্যে বলা হয়েছে করতা হ্যায়— করছে কিন্তু কি করছে ,তা বলা হয়নি। এজন্য বাক্যটি অকর্মক।
আবার কর্মের সমাপ্তি বা অসমাপ্তি ভেদে ক্রিয়া দু'ভাগে বিভক্ত । যেমন—
সমাপিকা ক্রিয়া
অসমাপিকা ক্রিয়া
সমাপিকা ক্রিয়া — যে ক্রিয়ার সাহায্যে কর্মের শেষ বোঝা যায়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।
rkonlineofferbanga.com
আপনি যদি আমাদের সবগুলো পোস্ট পড়েন তাহলে আপনি পরিপূর্ণ হিন্দি ভাষা শিখতে পারবেন,
Read More Post: ⬇
➤ হিন্দি ভাষা শিক্ষা পার্ট ১ |
➤ হিন্দি ভাষা শিক্ষা পার্ট ২ |
➤ হিন্দি ভাষা শিক্ষা পার্ট ৩ |
➤ হিন্দি ভাষা শিক্ষা পার্ট ৪ |
➤ হিন্দি ভাষা শিক্ষা পার্ট ৫ |
➤ হিন্দি ভাষা শিক্ষা পার্ট ৬ |